নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
মহামারী করোনাভাইরাসে কক্সবাজার জেলা পুলিশ জীবন ঝুঁকি উপেক্ষা করে সারা দেশের মতো দীর্ঘ ৩ মাস ধরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে জেলার ৮ উপজেলার নাগরিকদের। এতে জেলা পুলিশ নুতুনরূপে জনবান্ধব ও প্রকৃত সেবামুখী একটি বাহিনী হিসাবে নিজেদের উন্মোচিত করতে সক্ষম হয়েছে।
নিজের ও পরিবার পরিজনের কথা মাথায় না রেখে করোনা সংকটে এ সেবা দিতে গিয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশও করোনার ভয়ংকর থাবা থেকে রেহাই পায়নি। করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার জেলাবাসীকে নিরন্তর মানবিক সেবা দিতে গিয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশের ৪৭ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জুন পর্যন্ত ।
তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম গত ১৭ মে করোনা ‘পজিটিভ’ হন পেকুয়া থানার কনস্টেবল এরশাদ। জেলা পুলিশের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যায় আক্রান্ত হয়েছেন কনস্টেবল পদবীর ৩২ জন সদস্য। এছাড়া জেলা পুলিশের আক্রান্ত হওয়া অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে পরিদর্শক ১ জন (চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম চৌধুরী) এসআই, সার্জেন্ট ও টিএসআই পদবীর ৭ জন, এএসআই ও এটিএসআই পদবীর ৩ জন, নায়েক ২জন ও জেলা পুলিশের সিভিল স্টাফ ২ জন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোছাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
তিনি জানান, অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আক্রান্তদের থেকে ২ জন পুলিশ সদস্যকে ঢাকাস্থ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করে সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ৪৪ জন পুলিশ সদস্য জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, পুলিশ লাইন ও বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একজন পুলিশ সদস্য ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
এ পর্যন্ত জেলা পুলিশের ৪০৯ জন সদস্যের স্যাম্পল টেস্ট করে ৪৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু সনাক্ত হয়। যা মোট স্যাম্পল টেস্টের প্রায় ১২%। কোয়ারেন্টাইন পালন করছেন ১৪১ জন পুলিশ সদস্য।
জেলা পুলিশের করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সকলেই পুরুষ পুলিশ সদস্য বলে জানান, জেলা পুলিশের মুখপাত্র এডিশনাল এসপি (এডমিন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।
পাঠকের মতামত: